কড়া রোদে যাদের কাজ করতে হয় বাইরে ঘুরে ঘুরে, তাদের কষ্টের যেন অন্ত নেই। দিনে চলার পথে শরীর মনে সহজে সতেজতা এনে দিতে পারে বিশুদ্ধ পানীয়। আরও এই পানীয়ের তালিকায় প্রথমেই থাকতে পারে ডাবের পানি। ডাবের পানি স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী, তেমনি ত্বকের জন্যেও।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডাবের পানিতে প্রচুর প্রাকৃতিক উপদান রয়েছে। যা ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করে, শরীরে পানিশূন্যতা পূরণ করে। পানিশূন্যতা পূরণে কচি ডাবের পানির বিকল্প নেই। একটি ডাবের পানিতে রয়েছে চারটি কলার সমান পটাশিয়াম।
শরীরে প্রচুর পরিমাণে ঘাম ঝরা, ডায়রিয়া অথবা বমির পর শরীরে পানিশূন্যতা দূর করতে ডাবের পানিকে খাবার স্যালাইনের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। একটি সাধারণ কচি ডাবে আকার ভেদে ২০০ থেকে এক হাজার মিলিলিটার পানি থাকতে পারে। এর ৯৫ শতাংশই পানি। আর সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও অন্যান্য লবণের পরিমাপ স্থানভেদে একেক রকম।
স্বাস্থ্য গবেষকদের দাবি, যারা শীররচর্চা করে প্রচুর ঘাম ঝরান, তারা এক চিমটি লবণ মিশিয়ে ডাবের পানি খেলে স্পোর্টস ড্রিংকের তুলনায় অনেক বেশি উপকার পান। সাধারণত যারা ঘরের বাইরে অনেক পরিশ্রম করেন তাদের জন্যও ডাবের পানি খুব প্রয়োজনীয়। তাই পথে তৃষ্ণা পেলে ডাব খেয়ে প্রাণ জুড়ান।
ডাবের পানি শুধু শরীরের জন্য উপকারী নয়, ত্বক সুন্দর রাখতেও ডাবের পানির গুরুত্ব অনেক। অতিরিক্ত গরম, রোদের তাপ ত্বকের ওপর যে প্রভাব ফেলে এ অবস্থায় ডাবের পারি আপনাকে দেবে সতেজতা।
এছাড়া ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধুলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয় ও লোমকূপগুলোতে জমে থাকা ময়লা উঠে আসে। ফলে চেহারায় উজ্জ্বলতা বাড়ে।