নিউজ ডেস্কঃ
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহরাব হোসেনের সরকারি মোবাইল নম্বর ক্লোন করে ইটভাটা মালিকের কাছে থেকে এক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরের দিকে চারঘাট উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতির কাছ থেকে ইউএনও পরিচয়ে বিকাশের মাধ্যমে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে জানান ইউএনও সোহরাব হোসেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে প্রতারক চক্রের সদস্য ইউএনও পরিচয়ে উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি একরামুল হক টিপুর কাছে ফোন করেন। ফোনে ইউএনওর আত্মীয় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়ায় জরুরি এক লাখ টাকা ধার হিসেবে চাওয়া হয়। বুধবার (২৯ মার্চ) সকালে ইউএনওর কার্যালয়ে এসে ধারের টাকা নিয়ে যেতে বলা হয়। এ সময় একরামুল হক কাজে ব্যস্ত থাকায় অন্য ভাটা মালিক তোফসেরুল ইসলাম পাখিকে ইউএনওর কাছে টাকা পাঠাতে অনুরোধ করেন। ভাটা মালিক তোফসেরুল দুইটি মোবাইল ফোন নম্বরে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে এক লাখ টাকা পাঠান। এ ঘটনায় চারঘাট মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
চারঘাট উপজেলা ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি একরামুল হক টিপু বলেন, ইউএনও পরিচয়ে ফোন করে এক লাখ টাকা ধার হিসেবে পাঠানোর কথা বলে। যেহেতু ইউএনও সাহেবের নম্বর মোবাইলে আগে থেকেই সেভ ছিল তাই বিষয়টি নিয়ে তেমন সন্দেহ হয়নি। আমি রাজশাহীতে থাকায় অপর ভাটা মালিক তোফসেরুল আলম পাখিকে দাবিকৃত টাকা পাঠানের দায়িত্ব দিয়েছিলাম। টাকা পাঠানোর পর ইউএনও সাহেবের কথা মতো বুধবার সকালে টাকা নিতে গেলে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে।
ইটভাটা মালিক তোফসেরুল ইসলাম পাখি বলেন, আমাদের সভাপতি ফোন করে ইউএনও স্যারকে টাকা পাঠানোর কথা বলে। এর কিছুক্ষণ পরই ইউএনও স্যারের সরকারি নম্বর থেকে আমাকে ফোনে করে স্যারের পার্সোনাল নম্বর জানিয়ে সেখানে যোগাযোগ করতে বলা হয়। এরপর দুটি নম্বরে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য বলা হয়। পরে চারঘাট বাজারের আফজাল টেলিকম থেকে টাকা পাঠিয়েছি। বুধবার টাকা নিয়ে আসতে গেলে স্যার জানান, তিনি এসবের কিছুই জানেন না।
ইউএনও মো. সোহরাব হোসেন বলেন, ইউএনওর সরকারি নম্বর ক্লোন করে ভাটা মালিকদের কাছে থেকে টাকা নিয়েছে প্রতারক চক্র। এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল আলম বলেন, এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। পুলিশ ঘটনা তদন্ত ও প্রতারক চক্রকে ধরতে চেষ্টা চালাচ্ছে।