হারের পর যা বললেন বাবর আজম

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৩০ রানের লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি পাকিস্তান। হারতে হয়েছে একেবারে কূলের কাছে গিয়ে। এক রানের এই হারে ব্যাটিংকেই দুষলেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম। আগামী ম্যাচে ফিরতে চান জয়ের ধারায়।

অধিনায়ক বাবর বলেন, ‘দলের খেলা খুব হতাশাজনক। ব্যাটিং একদমই ভাল হয়নি। প্রথম ৬ ওভারে খুব খারাপ ব্যাটিং করেছি আমরা। শাদাব খান এবং শান মাসুদ জুটি গড়েছিল। শাদাবের আউট হয়ে যাওয়াটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। এরপরই একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে।’

তিনি বলেন, ‘ব্যাটারদের উপর চাপ বাড়তে থাকে। শেষের দিকটা ভাল হচ্ছিল। দলের সবার সঙ্গে বসব। এই ম্যাচের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নেব। পরের ম্যাচে দাপটের সঙ্গে ফিরে আসব আমরা।’

১৩১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। দলীয় ৩৬ রানে দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন তিন ব্যাটার বাবর আজম,  মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ইফতেখার আহমেদের উইকেট হারায় পাকরা। এরপর শান মাসুদ ও শাদাব খানের ব্যাটে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয় নি বাবরদের। ইনিংস শেষে মোহাম্মদ নওয়াজ ও ওয়াসিমের জুনিয়রের চেষ্টা বৃথা যায় পাকিস্তানের। জিম্বাবুয়ে বোলারদের কার্যকরী বোলিংয়ে ১২৯ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস।   

দিনের শুরুতে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ৪ ওভারে উড়ন্ত সূচনা করে দুই রোডেশিয়ান ওপেনার। বিনা উইকেটে ৩৮ রান তুলে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দেন ওয়েসলে মাধভেরে ও আরভিন। কিন্তু পঞ্চম ওভারে প্রথম আঘাত হানেন হারিস রউফ। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আবারও আঘাত হানেন আরেক পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। 

দলীয় ৪৩ রানে দুই উইকেটের পতন ঘটে জিম্বাবুয়ের। মিডেল ওভারে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয় সিকান্দার রাজা ও শন উইলিয়ামসের জুটি। তবে দলীয় ৯৫ রান থেকে ৯৮ রানের ভেতর ৪টি উইকেটের পতনে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন ভেঙে যায় জিম্বাবুয়ের। 

শেষ দিকে ব্র্যাড ইভান্সের ১৫ বলে ১৯ রানের ইনিংসে ১৩০ রানের পুঁজি পায় ক্রেইগ আরভিনের দল। পাকিস্তানের হয়ে ৪টি উইকেট শিকার করেন পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম।  

ব্যাট ও বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার পান সিকান্দার রাজা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *