৮৪ হাজার কোটি টাকা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে বছরে রাজস্ব ফাঁকি : সিপিডি

নিউজ ডেস্কঃ

বাংলাদেশে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের আকার প্রায় ৩০ শতাংশ। দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে এই খাত দিন দিন বড় হচ্ছে। ২০১০ সালে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে করের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা যা ২০২১ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে বছরে ৮৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে দেশ। এমনটিই জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)।

আজ সোমবার (৩এপ্রিল) গবেষণা প্রতিষ্ঠান করপোরেট খাতে কর স্বচ্ছতা : বাজেটে সরকারি আয়ের অভিঘাত শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য উঠে এসেছে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন। গোলাম মোয়াজ্জেম তার উপস্থাপনায় বলেন, সিপিডির গবেষণায় দেখা গেছে ৬৮ শতাংশ মানুষ করযোগ্য আয় করার পরও আয়কর দেন না। অর্থাৎ দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ কর দেওয়ার যোগ্য হওয়ার পরও কর দেন না। কর জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি না হওয়ার বড় কারণ এটি। অন্যদিকে জয়েন্টস্টক কম্পানিতে ২ লাখ ১৩ হাজার কম্পানি রেজিস্ট্রার্ড হলেও রিটার্ন দাখিল করে মাত্র ৪৫ হাজার কম্পানি। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের আকার ৩০ শতাংশ। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে করের পরিমাণ ছিল ২০১০ সালে ২২ হাজার কোটি টাকা যা ২০২১ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ হাজার কোটি টাকা। ছায়া অর্থনীতিতে ৮৪ হাজার কোটি টাকা কর ক্ষতি হচ্ছে। যা জিডিপির প্রায় ৩০ শতাংশ। এই টাকা যদি পাওয়া যেত তাহলে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যয় তিনগুণ বৃদ্ধি করা যেত। অর্থাৎ করনেট বৃদ্ধির প্রধান প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত। বড় অংশই করের বাইরে থেকে যাচ্ছে। ফলে কর লস দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *