অবিকল যেন পৃথিবী! তবে নীল নয়, মহাকাশে অন্য রঙের ‘বিশ্ব’ খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা

মহাকাশে পৃথিবীর মতো দেখতে গ্রহের হদিস পেলেন বিজ্ঞানীরা। ছবি: সংগৃহীত।

জার্মানির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোনমির বিজ্ঞানী ডায়ানা কোসাকোস্কির নেতৃত্বে গবেষকদের একটি দল এই গ্রহটি আবিষ্কার করেছেন। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৩১ আলোকবর্ষ। গ্রহটির ভরও পৃথিবীর মতোই। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই গ্রহের পরিবেশ বাসযোগ্য হয়ে উঠতে পারে। তার সবরকম সম্ভাবনা গ্রহটিতে মজুত রয়েছে।

নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা থাকলেও এই গ্রহের একটি বড় অংশের মাটিতে দিনের বেলায় বাসযোগ্য আবহাওয়া তৈরি হয় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গ্রহের আশপাশে মহাজাগতিক ক্রিয়াকলাপের অনুপস্থিতি এবং অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণ কম থাকায় বসবাসের বিষয়ে জোর দিতে পারছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

জার্মানির এই গবেষক দলের আবিষ্কারের কথা ‘অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্রহটি তার নিকটবর্তী নক্ষত্রের চারদিকে এক বার ঘুরে আসতে সময় নেয় ১৫.৬ দিন। নক্ষত্রের থেকে গ্রহটির দূরত্ব, সূর্য ও পৃথিবীর দূরত্বের ১৫ ভাগের এক ভাগ।
নক্ষত্রের সঙ্গে দূরত্ব কম হওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে গ্রহটি পৃথিবীর মতো বাসযোগ্য হয়ে উঠল? বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবী সূর্যের কাছ থেকে যে পরিমাণ তেজস্ক্রিয় শক্তি পায়, তার মাত্র ৬৫ শতাংশ পায় উল্ফ ১০৬৯ বি। এই গ্রহের পরিসর পৃথিবীর চেয়ে অনেক বেশি শীতল। গ্রহটিকে দূর থেকে কমলা রঙের দেখায়।

কিছু দিন আগে মহাকাশে পৃথিবীর আকারের একটি গ্রহ খুঁজে পেয়েছিলেন নাসার বিজ্ঞানীরা। সেই গ্রহের নাম দেওয়া হয়েছে ‘টিওআই ৭০০ই’। পৃথিবী থেকে প্রায় ১০০ আলোকবর্ষ দূরে ডোরাডো নক্ষত্রপুঞ্জে তার ঠিকানা। গ্রহটিকে বাসযোগ্য বলা যায় কি না, তা নিশ্চিত করা হয়নি। এ বার তার চেয়ে অনেক কাছেই আরও এক ‘পৃথিবী’র সন্ধান মিলল।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *