ছোলা এবং বাদাম দুটোই আমাদের অনেকের খুব প্রিয় খাবার। ছোলায় রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ক্যালশিয়াম, পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো উপকারী ভিটামিন ও খনিজ। এ ছাড়া ছোলায় প্রোটিন থাকায় এটি আমিষের অভাব পূরণেও বেশ কার্যকর।
অন্যদিকে বাদামে রয়েছে ভিটামিন বি, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, পটাসিয়াম, সোডিয়ামসহ একাধিক জরুরি উপাদান।
এ ছাড়া বাদামে কিছু পরিমাণে ওমেগা থ্রি নামক ফ্যাটি এসিড থাকে, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষা থেকে শুরু করে হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
পুষ্টিবিদদের মতে, বাদাম ও ছোলা উভয়ই অত্যন্ত উপকারী। প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় ছোলা ও বাদাম রাখলে শরীর সুস্থ থাকবে। নতুন কোষ তৈরি থেকে শুরু করে পেশি গঠন করার মতো কাজেও উপকারী ছোলা।
তাই নিয়মিত ছোলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। ছোলা বয়ঃসন্ধি-পরবর্তীকালে নারীদের হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটি শরীরের অপ্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়। ছোলায় খাদ্য-আঁশ থাকায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক।
কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে কাঁচা বাদামের সঙ্গে খেলে শরীরে আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিকের চাহিদা পূরণ হয়। ছোলায় সালফার নামক খাদ্য উপাদান থাকে, যা হাত-পায়ের তলায় জ্বালাপোড়া কমায়।
অনেকেই বাদাম বা ছোলা ভাজা খাওয়ার সময় খোসা ছাড়িয়ে খান। আর এটিই হলো মস্ত বড় একটি ভুল। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, এই দুই প্রাকৃতিক উপাদানের খোসায় রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেলের প্রাচুর্য।
তাই খোসা না ছাড়িয়ে বাদাম ও ছোলা খেলে একাধিক পুষ্টিকর উপাদানের সুফল পাবেন। ছোলা ও বাদাম একসঙ্গে খেলে আরো বেশি উপকার পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলেন, এক বাটি ছোলায় ১০ থেকে ১২টি বাদাম মিশিয়ে খাওয়া ভালো।
তবে মনে রাখা জরুরি যে গ্যাস বা এসিডিটির সমস্যা থাকলে ছোলা ও বাদাম বেশি পরিমাণে না খাওয়াই ভালো। কারণ এগুলো হজম করা একটু কঠিন। এতে গ্যাস বা এসিডিটিসহ ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে।
সূত্র : হেলথ ক্লেভেন্ট