নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী সিটি কপোরেশনের (রাসিক) নির্বাচনে এক কাউন্সিলর পার্থীর সাথে ভূয়া নির্বাচন কমিশনার সেজে প্রতারণার অভিযোগে প্রতারণাচক্রের মূল হোতা গিয়াস উদ্দিনকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে আরএমপি পুলিশ। শনিবার (১৭জুন) দুপুরে আরএমপির সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান আরএমপির পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান। এর আগে শুক্রবার (১৬ জুন) রাতে ঢাকার শেখের টেক থেকে আরএমপি’র ডিবির টিম তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত প্রতারক কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানার পুটিবিলা গ্রামের কবির উদ্দিনের ছেলে গিয়াস উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে আরএমপির পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, গত ৮ জুন সকাল ৭টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর ২৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আরমান আলীকে মোবাইল ফোনে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব:) মো: আহসান হাবিব খানের পরিচয় দেন এবং নির্বাচন নিয়ে নানান কথাবার্তা বলেন। এরপর ওই প্রতারক ওইদিন পুনরায় আরমান আলীকে সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে মোবাইল নম্বরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়ালের সাথে কথা বলতে বলেন। প্রতারক ওই কাউন্সিলর প্রার্থীর নিকট টাকা দাবী করেন এবং তাদের সাথে যোগাযোগ না করলে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ফলাফল তাঁর বিরুদ্ধে যাবে মর্মে হুমকি প্রদান করে। পরে প্রতারক ওইদিন পুনরায় সকাল সাড়ে ৮ টায় ও সোয়া ১১ টায় মোবাইলে ফোন করলে কাউন্সিলর পার্থী আরমান আলী প্রতারণার বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরে প্রতারকের ফোন আর রিসিভ করেননি। কাউন্সিলর পার্থী আরমান আলী ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার গোলাম মোস্তফার উক্ত অভিযোগে পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার দিনই এ সংক্রান্তে বিষয়ে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় দুইটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
এ প্রতারণার ঘটনাটি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার মাধ্যমে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। আরএমপি’র পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমানের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) বিজয় বসাক এর নেতৃত্বে এবং আরএমপি’র সাইবার ক্রাইমের সহযোগিতায় ডিবি’র একটি চৌকষ টিম প্রতারণা সংক্রান্তে সংঘবদ্ধচক্রকে উদঘাটনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান পরিচালনা করে।
কিন্তু প্রতারক গিয়াস উদ্দিন পুলিশের গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য একের পর এক তার অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে। এরপর গত ১৬ জুন রাতে ঢাকার শেখের টেক থেকে সংঘবদ্ধচক্রের মূল হোতা গিয়াস উদ্দিনকে আরএমপি’র ডিবির টিম গ্রেপ্তার করে। প্রতারণার দায়ে গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরসহ তার বিরুদ্ধে ঢাকার পল্টন থানায় একটি ও মহেশখালী থানায় দুটি মামলা রয়েছে। এছাড়াও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।