কারার ঐ লৌহকপাট গানের সুর বিকৃতি : নজরুল সংগীতশিল্পীদের প্রতিবাদ

নিউজ ডেস্কঃ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী গান ‘কারার ঐ লৌহকপাট’-এর সুর বিকৃতির প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশবরেণ্য নজরুলসংগীতশিল্পীসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁরা বলেন, ‘কারার ঐ লৌহকপাটের সুর বিকৃতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ভারতের চলচ্চিত্রে এই গানের বিকৃত সুরের ঘটনাকে আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।’

আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘কারার ঐ লৌহকপাট’ গানের সুর বিকৃতির প্রতিবাদে আলোচনা ও প্রতিবাদসভায় এ কথা বলেন দেশবরেণ্য শিল্পীরা।

সভাটি আয়োজন করে বাঁশরী- একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র।
নজরুলসংগীতশিল্পী সালাউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমি শুধু একটি কথাই বলতে চাই, নজরুল নজরুলের মতো করেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তাঁর গানের সুর বিকৃতি করাটা মোটেও সমীচীন নয়। তিনি এই আলোচনায় গানের সুর বিকৃতির প্রতিবাদ করেন।

নজরুলসংগীতশিল্পী লীনা তাপসী খান বলেন, কাজী নজরুল ইসলামের এত সুন্দর একটি কালজয়ী গান, সেই গানটি শুধু গান ছিল না। স্বদেশি একটি সত্তা তৈরি করেছিল। এই গানটি একটি জাতীয় সম্পদ, এই গানটি নিয়ে এ আর রহমানের নাড়াচাড়া করা উচিত হয়নি।

ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, ‘কারার ঐ লৌহকপাট গানের ব্যাপারে কী চুক্তি হয়েছিল আমরা এখনো জানি না।

আমরা এখনো ধোঁয়াশার মধ্যে আছি। এটা আমাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করতে হবে।’

সভায় স্বাগত বক্তব্যে বাঁশরীর সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামান বলেন, ‘কবির সব সৃষ্টি বাঙালি জাতি তথা বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। এই কালজয়ী গানের বিকৃতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। অমর সৃষ্টি এই গানটি ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতাসংগ্রাম, বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রাম এবং জেল থেকে বঙ্গবন্ধুর মুক্তিসহ সমস্ত রাজনৈতিক আন্দোলনে গানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন ঘোষাল বলেন, ‘আমাদের বাঙালি হিসেবে আমরা যদি দুজন বাংলা সাহিত্যিকের নাম বলি তাহলে নজরুলের নাম বলতেই হবে। আমরা সেই নজরুলের গান কারার ঐ লৌহকপাট ষাটের দশকে কত হাজারবার গেয়েছি এর কোনো হিসাব নেই। আজ তাঁর এই কালজয়ী গানের সুর বিকৃত করে ভারতের চলচ্চিত্রে প্রচার হচ্ছে, আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। আমরা সবাই মিলে ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি প্রদান করব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *