নিউজ ডেস্কঃ
আজ বুধবার (১৯ জুলাই) সকাল ১১টায় আন্দোলনরত শিক্ষকরা গুলিস্তান-মৎস্যভবন সড়ক অবরোধের চেষ্টা করায় সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এতে এই সড়কে কিছুক্ষণ যানচলাচল বন্ধ থাকে। মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে নবম দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।
প্রেস ক্লাব এলাকায় দেখা যায়, গত কয়েকদিনের মতো আজ সকাল থেকে শিক্ষকদের স্লোগানে উত্তাল প্রেস ক্লাব এলাকা। প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে জাতীয় ঈদগাহের গেট পর্যন্ত অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। পুলিশ তাদের প্রেস ক্লাব সড়ক থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে। এসময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষকদের ধস্তাধস্তি হয়।
শিক্ষক নেতারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান।
অথচ একই কারিকুলামের অধীনে একই কাজে নিয়োজিত থেকে আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য।
তারা আরো বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেলের একধাপ নিচে। তাছাড়া সহকারী প্রধান শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল না দেওয়ায় উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সমান। এতে সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেলের একধাপ নিচে এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল প্রদান না করার ফলে উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সমান হওয়ায় প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে বছরের পর বছর উপজেলা থেকে শুরু করে জেলা ও বিভাগীয় শহরে সমাবেশ, মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, প্রতীকী অনশন, অবস্থান ধর্মঘট, কর্মবিরতিসহ প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে বারবার স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। এবার জাতীয়করণের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।