ছাত্রাবাস থেকে রুমের দরজা ভেঙে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মহানগরীর অক্ট্রয় মোড় এলাকার ষষ্ঠীবাড়ি ছাত্রাবাস থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত শিক্ষার্থীর নাম আব্দুল কাদের শরিফ (২২)।
তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার ফাঁড়ি রঘুনাথপুর গ্রামের মকলেছুর রহমানের ছেলে। এছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ছাত্রাবাসে দুপুরে মেসে থাকা তার বন্ধুদের দুপুরের খাবারের দাওয়াত দিয়েছিলেন আব্দুল কাদির শরিফ। তার মধ্যে একজন তার দুঃসম্পর্কের চাচাত ভাই ও আরেকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তারা দুজন ঘুম থেকে উঠে দরজায় একাধিকবার করাঘাত করেন। কিন্তু শরিফ দরজা না খোলায় তারা জানালা দিয়ে তাকে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। এমতাবস্থায় তারা দুজন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিকে খবর দেন। পরে পুলিশ ও আমরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসক শরিফের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বর্তমানে তার মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। আমরা শরিফের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মতিহার থানার উপ-পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজ কক্ষে ঘুমাতে যান শরিফ। তারপর সে আর দরজা খুলেনি। শনিবার দুপুরে তাকে ডাকাডাকি করেন মেসের অন্য ছেলেরা। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে তারা ‘৯৯৯’ এ ফোন দিয়ে জানান৷ পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে কক্ষে ঢুকলে তাকে নিস্তেজ অবস্থায় পাওয়া যায়। সেখান থেকে দ্রুত রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন৷
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহম্মেদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মৃত অবস্থায় ওই ছাত্রের মরদেহ রামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে না।প