বাজারের ৬নং ওয়ার্ডে বসবাস করতেন। পিঠা বিক্রি করে তারা জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি আরো এখানকার পরিবেশ অনেক ভালো,শুধু জমিসহ ঘরই নয় ফ্রি বিদ্যুৎ সংযোগ,রান্না ঘর,স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আমাদের জীবনকে মধুময় করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমরা চিরকৃতজ্ঞ।
রছুমা (৫৫) প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আগে আমরা ছোট ভাঙ্গা ঘরে থেকে শিশু সন্তান নিয়ে শীত-বৃষ্টি মৌসুমে লড়াই করে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করতাম। সরকার আমাদের নতুন ঘর দেয়ায় এখন আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছি। আগের মত কষ্ট আর নেই।
তিনি আরো জানান,দু’শতক জমিসহ ঘর পেয়ে তিনি উচ্ছ¡সিত। বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনা আমাকে মাথা গোঁজার ঠাই দিয়েছে। এ শান্তির নীড় গড়ে দেওয়ায় মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানাই তাঁকে যেন একশ’ বছর সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রেখে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে রাখেন।
এভাবেই উপজেলার সুখের পল্লীতে সুখে আছেন ৩১২টি পরিবারের শতাধিক শিশু ও বৃদ্ধসহ নারী-পুরুষ। মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে গৃহীত এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে অসহায় ভিক্ষুকরাও পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এই ঘর। এসব প্রকল্প ঘুরে দেখা গেছে, হিন্দু-মুসলমান পাশাপাশি ঘরে মিলেমিশে আছে। দিন যতই যাচ্ছে একে অপরের সুখ-দুঃখের সঙ্গীও হচ্ছে। এ যেন সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় গৃহহীন-ভূমিহীনরা স্বপ্নের এ পাকা ঘর পেয়েছেন। এতে করে এই অসহায় মানুষগুলোর জীবন বদলে গেছে। এই মানুষগুলোর একসময় ছিলোনা নিজস্ব কোন স্থায়ী ঠিকানা। খাস জমি কিংবা অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়ে ভাঙ্গা ঘরে আবার কেউ স্বল্প টাকার ভাড়া বাসায় থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতেন তারা।
প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ উপহারের বাসস্থানসহ নানাবিধ সুবিধার ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে তাদের জীবনমান। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহারের এই ঘর অনাবিল হাসি ফুটিয়েছে তাদের মুখে। নিজের একটি পাকা-পরিচ্ছন্ন ঘরে থাকার আজন্ম লালিত স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তাদের মনোরম পরিবেশে নিরাপদ ও মজবুত স্থায়ী ঘর পেয়ে।
সরেজমিনে এসব ঘরে বাস করা মানুষদের দেখা যায়, মানবেতর জীবনমান থেকে মুক্তি পেয়ে এখন তারা সুখ-স্বাচ্ছন্দে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাবন করছেন।
এ প্রসঙ্গে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সোহেল রানা বলেন, ‘দেশের একজন মানুষও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবেনা’- মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ঘোষণা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলার দেবীপুর আশ্রয়ণসহ উপজেলার ৭ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় মোট ৩১২টি পরিবারের জন্য রঙিন পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল ভূমি ও গৃহহীন সবাইকে ঘর দেওয়া হবে। আশ্রয়নে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ সব ধরনের সহায়তা ও পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরকেও আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে নানা ধরনের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে।