প্রথম দিনেই ‘ব্লকবাস্টার’ খেতাব, কত কোটির ব্যবসা করল শাহরুখের ‘পাঠান’?

‘বাদশা ইজ ব্যাক’! বুধবার সারা দিন প্রায় মন্ত্রের মতো শোনা গিয়েছে এই কথা। মন্ত্রমুগ্ধের মতো তাঁকে বড় পর্দায় দেখেছেন আপামর দর্শক। এক বার বা দু’ বার নয়, অনেকে দেখেছেন তিন-তিন বার! কখনও সিঙ্গল স্ক্রিনে, কখনও আবার মাল্টিপ্লেক্সে পপকর্ন খেতে খেতে। পয়সা উসুল করা হুল্লোড়ে মেতেছেন দর্শক, লাভের মুখ দেখেছেন প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষ।

শাহরুখ খানের ‘পাঠান’-এর প্রথম দিনের ব্যবসায় ছবিটা পরিষ্কার। ছবিমুক্তির দিনেই প্রায় ৫৫ কোটির ব্যবসা করে ফেলেছে যশরাজ ফিল্মস প্রযোজিত এই ছবি।
এখনও পর্যন্ত প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করেছিল দক্ষিণী ছবি ‘কেজিএফ-চ্যাপ্টার ২’, ৫৩ কোটি ৯৫ লক্ষ। ছবিমুক্তির দিনে দক্ষিণী মেগা হিটের ব্যবসাকে হাড্ডাহাড্ডি টক্কর ‘পাঠান’-এর। শোনা যাচ্ছে, বুধবার প্রায় ৫৩-৫৫ কোটির ব্যবসা করেছে ‘ওয়াইআরএফ স্পাই ইউনিভার্স’-এর এই ছবি। যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ‘ওয়ার’, ‘থগ্স অফ হিন্দোস্তান’, ‘ভারত’ ছবির প্রথম দিনের উপার্জন।

খবর, এই ব্যবসার প্রায় অর্ধেক উঠে এসেছে পিভিআর, আইনক্স, সিনেপোলিস থেকে, যার পরিমাণ ২৭ কোটির কাছাকাছি। প্রতিদ্বন্দী হৃতিক রোশন, আমির খান, সলমন খানকে টেক্কা দিয়েই ক্ষান্ত নন ‘পাঠান’। নিজের ছবি ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’, ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’কেও বলে বলে গোল দিয়েছেন শাহরুখ। যাদের প্রথম দিনের ব্যবসার অঙ্ক ছিল ৪৪ কোটি ৯৭ লক্ষ ও ৩৩ কোটি ১২ লক্ষ। সেই দুই ছবিতেও শাহরুখের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন ‘পাঠান’-এর রুবিনা, দীপিকা পাড়ুকোন।

দীর্ঘ ৪ বছর পরে বড় পর্দায় ফিরেছেন শাহরুখ খান। বলিউডের ‘বাদশা’কে নিয়ে অনুরাগীদের উন্মাদনার ঝলক দেখা গিয়েছিল ট্রেলার মুক্তির পরেই। দুবাইয়ের বুর্জ খলিফাতেও শাহরুখের উপস্থিতিতে ট্রেলার প্রদর্শনের সময় ঢল নেমেছিল ভক্তদের। বক্স অফিসে যে ভাল অঙ্কের ব্যবসা করবে ‘পাঠান’, তার আভাস মিলেছিল অগ্রিম টিকিট বুকিংয়েই। দর্শকের উন্মাদনা দেখে সকাল ৬টা ও ৭টাতেও শো রেখেছিল বড় বড় শহরের একাধিক প্রেক্ষাগৃহ।

এমনকি, দর্শকের চাহিদার কথা মাথায় রেখে মধ্যরাতেও শো চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রযোজনা সংস্থা ওয়াইআরএফ। তবে ছবিমুক্তির প্রথম দিনে সব সম্ভাব্য হিসেব গুলিয়ে দিয়েছে ‘পাঠান’। হিন্দি ছবির ইতিহাসে ছবিমুক্তির দিনে ‘পাঠান’-এর ব্যবসাই এখন সর্বোচ্চ। ইতিমধ্যে ব্লকবাস্টার খেতাবও পেয়ে গিয়েছে ছবি। তা হবে না-ই বা কেন, রাজার প্রত্যাবর্তন বলে কথা!
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *