বাগমারা প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় শৌখিন কবুতর পালনে লাভবান হচ্ছে শিক্ষার্থী রাফিউল বারি। লেখাপড়ার পাশাপাশি শখের বশে গড়ে তুলেছেন মিনি কবুতর ফার্ম। দেশী বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর রয়েছে তার সংগ্রহে। মাসে মাসে কবুতর ও বাচ্চা বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন তিনি।
জানা যায়, উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের সাঁকোয়া-শিকদারী গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে রাফিউল বারি রাফি বিএসসি অনার্সে অধ্যায়নরত। আট বছর আগে শখের বশে তিনি কবুতর পালন আরম্ভ করে। নিজ বাড়িতেই ধীরে ধীরে গড়ে তুলেন কবুতরের মিনি খামার। তার খামারে কিং, ঢাকাই গিরিবাজ, রাজশাহী গিরিবাজ, দেশীয় প্রজাতিসহ দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর তার সংগ্রহে রয়েছে।
শৌখিন কবুতর পালন বিষয়ে শিক্ষার্থী রাফিউল বারি বলেন, অনেক ছোট থেকেই কবুতর পালনের ইচ্ছা ছিল। দেশের বিভিন্ন জায়গায় নতুন নতুন প্রজাতির কবুতরের খোঁজ পেলেই এক নজর দেখার জন্য ছুটে যেতাম। অনুপ্রানিত হয়ে পরে নিজেই গড়ে তুলেছি ছোট-খাটো খামার। লেখাপড়ার পাশাপাশি কবুতর সংগ্রহ করেন তিনি। অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে কবুতরের খাবার কিনেন। প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুদ রাখেন। প্রতি সপ্তাহেই খামারের দরজা খুলে দিয়ে কবুতর বের হবার সুযোগ দেয় সে। নিদিৃষ্ট পাত্রে পানি রেখে পানিতে বিশুদ্ধকরন ওষুধ প্রয়োগ করে কবুতরগুলোর গোসলের ব্যবস্থা করেন শৌখিন কবুতর পালনকারনী রাফিউল। বিশালাকৃতির একেকটা কবুতর দেখতে স্থানীয় উৎসুকদের ভীড় করতে দেখা যায় তার খামারে।
রাফিউল জানান, তার খামারের কিছু প্রজাতির কবুতরের বাচ্চার ওজন প্রায় এক কেজি করে। আট-দশ হাজার টাকা জোড়া দামে সংগ্রহ করেছিলেন কবুতর। প্রজাতি অনুযায়ী নানা দামে কিনতে হয়েছে কবুতর। পরিবেশ বান্ধব খামারে সময় সুযোগ পেলেই পরিচর্চার ঘাটতি রাখেন না। প্রতি মাসেই খরচ বাবদ যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে লেখাপড়ার খরচ মেটাতে সহায়তা হয় বলে তিনি জানিয়েছেন।