বিতর্কে চঞ্চলের ‘হাওয়া’, গানে নাম দেওয়া হয়নি প্রকৃত শিল্পীর

‘আটটা বাজে’ গানটির রচয়িতা মনিরুদ্দিন আহমেদ

২০২২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশের অন্যতম ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র ‘হাওয়া’। সিনেমাটি দেশের বাজারে ভালো ব্যবসার পাশাপাশি ওপার বাংলায়ও ঝড় তুলেছিল। চঞ্চল চৌধুরীদের দেখার জন্য নন্দন চত্বরে ছিল তুমুল ভিড়, লম্বা লাইন। জনপ্রিয় সেই সিনেমাটি এবার জড়াল বিতর্কে। অভিযোগ রয়েছে, ‘আটটা বাজে দেরি করিস না…’ গানে নাম দেওয়া হয়নি গীতিকার মনিরুদ্দিন আহমেদের। অথচ শিল্পীর নাম সিনেমার ক্রেডিট লিস্টে দেওয়া হয়। তাতেই শোরগোল অনলাইনে।

বীরভূম জেলার ভারতীয় গণনাট্য সংঘের সদস্য বিশ্বজিৎ দাস এ প্রসঙ্গে লেখেন, ‘আটটা বাজে দেরি করিস না গানটির গীতিকার ও সুরকার মনিরুদ্দিন আহমেদ। উনার লেখা অসংখ্য গান গেয়েছেন স্বপ্না চক্রবর্তী, আমিনুর রসিদ, কার্তিক দাস বাউল, বাসুদেব দাস বাউল, জিতেন নন্দী এবং অনেকে। মনিরুদ্দিন আহমেদ, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলা পঞ্চায়েত অফিসের কর্মী ছিলেন। বর্তমানে মনিরুদ্দিন আহমেদের বয়স ৮১ বছর, সিউড়ি লালকুঠি পাড়াতে তুলি কলম নামের বাড়িতে থাকেন।’

বিশ্বজিৎ আরো লেখেন, “দুঃখের বিষয় এটাই যে গানটি ‘হাওয়া’ সিনেমায় ব্যবহৃত হয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে ঠিকই কিন্তু গানটির রচয়িতা মনিরুদ্দিন আহমেদ তার যথাযথ সম্মান পেলেন না। উনার নাম ব্যবহার না করে প্রচলিত গান বলে চালিয়ে দেওয়া হলো। কেন? লেখকের হয়ে, ‘হাওয়া’ সিনেমার পরিচালক, প্রযোজকসহ সমস্ত কলাকূশলীর কাছে লেখককে সঠিক মর্যাদা দেওয়ার আবেদন রাখছি। ‘হাওয়া’ টিমের উচিত ছিল গানটি সম্পর্কে সঠিক তথ্য খুঁজে বের করে শিল্পীকে যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া। এই বিষয়ে ‘হাওয়া’ সিনেমা টিম দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এ আমাদের বিশ্বাস।”

গীতিকার মনিরুদ্দিন ও তার ছেলে জামাল

এদিকে বিশ্বজিতের এই পোস্টে মন্তব্য করেছেন গীতিকার মনিরুদ্দিনের বড় ছেলে জামাল আহমেদ। তিনি লেখেন, ‘বিশ্বজিৎ মহাশয়কে অনেক ধন্যবাদ। সত্যটা তুলে ধরার জন্য। আমি মনিরুদ্দিন সাহেবের বড় ছেলে জামাল আহমেদ। আপনাদের মতো প্রতিবাদী বন্ধুদেরকে স্যালুট করি। শুভেচ্ছা রইল ফেসবুক বন্ধুদের।’

গানটির রচয়িতা মনিরুদ্দিন জানান, ১৯৮৬ সালে তিনি গানটি লিখেছিলেন। তা নিয়ে একটি ক্যাসেটও হয়েছিল, যাতে তার নাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ‘হাওয়া’ সিনেমায় নামটি ব্যবহার করা হয়নি। শিল্পী শুধু চান, তার নামটি যেন সিনেমার ক্রেডিট লিস্টে ব্যবহার করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *