দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তিতে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে কারাগারে পাঠানোর সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে কারাগারে যাওয়া খালেদা জিয়ার দণ্ড পরে আপিলে দ্বিগুণ হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তার সাত বছরের কারাদণ্ড হয়। উচ্চ আদালতে জামিন করাতে ব্যর্থ হওয়ার পর খালেদা জিয়ার স্বজনরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন নিয়ে যান।
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে দুর্নীতির দুই মামলার দণ্ড স্থগিত হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান। মুক্তির জন্য সে সময় দুটি শর্তের কথা বলা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। এগুলো হলো খালেদা জিয়াকে বাসায় চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
২০২১ সালের এপ্রিলে খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম শর্তটি আর কার্যকর থাকেনি। তিনি বারবার এভারকেয়ারে যান এবং সেখানে ভর্তি হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেন। তবে স্বজনদের আবেদন ও তার দলের নানা কর্মসূচির পরও সরকার বিএনপি নেত্রীকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেয়নি। ফিরোজায় থাকাকালীন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ছয়বারের মতো বাড়ানো হয়।
আগামী নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে ফের কারাগারে নেওয়া হবে কিনা বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রীকে এমন প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপি নেত্রীকে কারাগারে পাঠানোর সম্ভাবনা অনেক কম।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিতে আগামী জাতীয় সংসদের অধিবেশনে তোলা হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘দল হিসেবে জামায়াতের বিচারে জন্য শিগগিরই আইনে সংশোধনী আনা হবে।’
ভিন্ন নামে জামায়াতের আবেদন কীভাবে নিষ্পত্তি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সরকার সেটি পর্যবেক্ষণ করবে বলে জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল।