মোহনপুর প্রতিনিধি:
মোহনপুর উপজেলা জুড়ে দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টি, প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা এবং খরার কারণে ভূগর্ভস্থ পানি স্তর স্থিতিশীল স্থান থেকে দেবে গেছে। ফলে খাবার পানিসহ সেচ সংকট দেখা দিয়েছে। তবে আগামী কয়েক সপ্তার মধ্যে এ সংকট অনেকটায় কেটে যাবে বলে আশাবাদী উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প বিএমডিএ।
সরোজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বহু রুপি ফসল উৎপাদনের দিক থেকে রাজশাহীর একটি অন্যতম উপজেলা মোহনপুর। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় প্রায়৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। একই মৌসুমে বোরো ধানের মতো পান, পটল, লাউ, ঝিঙে, করালা, কপি, পাটসহ নানাধরণের ফসলের চাষাবাদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষিবিভাগ।
কৃষি সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রমতে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টিপাত না হওয়ার পাশাপাশি বৈষ্যয়িক তাপদাহ প্রবাহের কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর স্বাভাবিকের অনেকটায় নিচে দেবে গেছে। এজন্য উপজেলার সেচ যন্ত্রসহ বসত বাড়িতেও সেচ সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া বসতবাড়ীতে ব্যবহৃত বেশির ভাগ মটরগুলোয় অর্ধেকপরিমান পানি উপরে তুলতে পারছেনা। এজন্য বসতবাড়ীর ব্যবহৃত পানিসহ সেচের পানির পর্যাপ্ত সংকট দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে কৃষক পরিবারে অনেকটায় হতাশা বিরাজ করছে।
উপজেলার কৃষ্ণপুর মৌজার পশ্চিমপাড়া বিলের মৃত মহসিন সরকার নামীয় গভীর নলকূপের অপারেটর বাবু সরকার বলেন, অনেক খরার কারণে বোরো খেতে ঘনঘন সেচ দিতে হচ্ছে। বিদ্যুত ব্যবস্থা ভাল রয়েছে। তবে গভীর নলকূপে ভাল লেয়ার পাচ্ছেনা এজন্য সেচ কাজে চরম বেগ পেতে হচ্ছে।
জানতে চাইলে মোহনপুর উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের (বিএমডিএ) সহকারি প্রকৌশলী গোলাম ফারুক বলেন, চলতি মৌসুমে খরা অনেক বেশি এজন্য বোরো খেতে ঘনঘন সেচ দিতে বেগ পেতে হচ্ছে গভীর নলকূপ অপারেটরদের। তবে কয়েকটি গভীর নলূপের সমস্যা দেখা দেয়ার পর কারগরি প্রযুক্তির মাধ্যমে সারানো হয়েছে। পানির স্থিতিশীল স্তর দেবে যাওয়াই সেচযন্ত্রসহ বসতবাড়ীতে পানির কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। তা কয়েক সপ্তার মধ্যেই স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশাবাদী তিনি।