রাজশাহীতে গাছে গাছে আমের মুকুল

রাজশাহীতে গাছে গাছে আমের মুকুল দেখা গেছে। যদিও তুলনামূলক কম গাছেই আমের মুকুল এসেছে। গাছে যে মুকুল দেখা যাচ্ছে সেগুলো শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির আগেই ধরেছে। গবেষকরা বলছেন, আমের গাছে মুকুল তুলনামূলক কম এসেছে। আবহাওয়া গরম হলে আরো বেশি গাছে আমের মুকুল দেখা যাবে।

নগরীর কোর্ট স্টেশন, মোল্লাপাড়া, লিলি সিনেমা হল, বিনোদপুর, দড়িখড়বোনা, বুধপাড়া, উপশহর ছাড়াও এলাকার কিছু গাছে আমের মুকুল দেখা গেছে। এরমধ্যে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সড়কের ধারে গাছে আমের মুকুল দেখা গেছে। মোল্লাপাড়ায় গাছের মালিক সাইফুল ইসলাম জানান, দুই সপ্তা থেকে আমের গাছে মুকুল দেখা গেছে। তবে মুকুলগুলো বড় হচ্ছে না। সবাই বলছেন শীত ও কুয়াশার কারণে। শীত ও কুয়াশা কেটে গেলে পুরো গাছজুড়ে আরো মুকুল বাড়বে।

আমচাষী আব্দুস সালাম জানান, আমি তিনটা আমের বাগান কিনেছি। প্রতিবছরের মতো এবছরও আমের পাতা অবস্থায় বাগান কিনেছি। গত বছর বাগানে আম কম হয়েছে। এই বছর বেশি আম ধরার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ একবছর আম কম আসলে পরের বছর আম বেশি হয়। সেই আশা থেকে মনে হচ্ছে এবছর আম বেশি আসবে।

তিনি আরো বলেন, তিন বাগান মিলে ৩৭টি আমের গাছ রয়েছে। এরমধ্যে তিনটি আমের গাছে হালকা মুকুল দেখা গেছে। এই মুকুলগুলো কুয়াশার কারণে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যদি নষ্ট না হয়, তাহলে শীত না কমা পর্যন্ত মুকুলগুলো বড় হবে না। প্রকৃতিতে গরম বাড়লে গাছে গাছে আরো বেশি আমের মুকুল দেখা যাবে।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২১-২২ মৌসুমে রাজশাহী জেলায় ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়ে ছিল। তার আগের বছর ২০২০-২১ মৌসুমে আমের চাষ হয়ে ছিল ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে। আর ২০১৯-২০ মৌসুমে রাজশাহীতে আমের আবাদ হয় ছিল ১৭ হাজার ৬৮৬ হেক্টর জমিতে।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, আম ও লিচু গাছের ধর্ম একবার বেশি ফল ধরবে, একবার কম ফল ধরবে। গত বছর রাজশাহীতে কম আম হয়েছে। যে গাছগুলোতে আম কম হয়েছে বা আসেনি। সেই গাছগুলোতে এবছর আগাম আমের মুকুল দেখা দিয়েছে। শীত বাড়ার আগেই এই মুকুলগুলো গাছে এসেছে।

তিনি আরো বলেন, গুঁটি আম থেকে শুরু করে ফজলি, বারি-৪ জাতের আমের গাছে মুকুল দেখা গেছে। বেশি কুয়াশা পড়লে মুকুল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এখনও বেশির ভাগ গাছে মুকুল বের হয়নি। তাতে হতাশার কিছু নেই। কারণ শীত কমলেই গাছে গাছে মুকুল ছেয়ে যাবে বলে আশা করেন এই কর্মকর্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *