নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন লাভ করেছেন। শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জনাব লিটনের দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার খবর রাজশাহীতে ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মি ও সমর্থকদের মধ্যে আনন্দ- উৎসাহ ছড়িয়ে পড়ে। একই সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে মেয়র প্রার্থী হিসেবে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে পুনরায় মেয়র নির্বাচিত করতে তারা সংকল্পবদ্ধ হন।
এদিকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বর্তমান রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
রাজশাহী মহনাগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নওসের আলী বলেন, বর্তমান মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে আবারো রাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে এটি ঘোষণা দেওয়া হবে কেন্দ্র থেকে।
এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (জন্ম ১৪ আগস্ট ১৯৫৯) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বাধীন মেয়র। ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি রাজশাহীর মেয়র ছিলেন এবং ২০১৮ সালে পুনরায় নির্বাচিত হন।
খায়রুজ্জামান লিটন ১৯৫৯ সালের ১৪ আগস্ট রাজশাহী জেলার কাদিরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা লাভের পর ১৯৭৬ সালে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৭৯ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৮৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি বার কাউন্সিলের সদস্য হন।
খায়রুজ্জামান লিটন ১৯৮৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে সপ্তম এবং ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ (পবা-বোয়ালিয়া) আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। ২০০৮ সালে তিনি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন এবং ২০১৩ সালের ৯ মে পর্যন্ত মেয়র ছিলেন।
২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট পুনরায় মেয়র নির্বাচন করে জয় লাভ করেন। তিনি রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটি প্রেসিডিয়াম এর সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।