এথিক তারুণ্য সম্মাননা পেলেন ১৪ তরুণ

গত বছরের ধারাবাহিকতায় এ বছরও তরুণ নাট্যকর্মীদের প্রচেষ্টা ও সাধনাকে স্বীকৃতি দিতে এথিক তারুণ্য সম্মাননা দিয়েছে এথিক নাট্যদল। দলটির ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গতকাল সোমবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।

সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন—আরণ্যক নাট্যদলের রেজওয়ান পারভেজ, থিয়েটারের লিটা খান, ঢাকা থিয়েটারের জয়শ্রী মজুমদার লতা, প্রাচ্যনাটের ডায়না ম্যারিলিন চৌধুরী, থিয়েটার আর্ট ইউনিটের সজল চৌধুরী, প্রাঙ্গণে মোরের সুবক্তগীন শুভ, শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্রের ইনতিশা তাশদীদ তাহা, স্বপ্নদলের শিশির সিকদার, মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের ইকবাল হোসেন চৌধুরী, বটতলার মাহবুব মাসুম, অনুস্বরের এস আর সম্পদ, বাতিঘরের সাদ্দাম রহমান, লোক নাট্যদলের ফজলুল হক এবং থিয়েটার ৫২-এর আদিব মজলিশ খান। অনুষ্ঠানে সেন্ট্রাল উইম্যান্স ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আবদুস সেলিম বলেন, এথিক নাট্যদল পুরস্কার প্রদানের যে সংস্কৃতি চালু করেছে, তা প্রশংসনীয়। পুরস্কার দেওয়া উচিত তাদের, যারা মঞ্চে নতুন এসেছে। যারা তাদের শ্রম, মেধা, চিন্তা এই মঞ্চে যুক্ত করেছে, তাদের পুরস্কৃত করে উত্সাহ দেওয়া উচিত।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘আমাদের থিয়েটারে  ইতিহাস, ঐতিহ্যের একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় রয়েছে। তারই অংশ আমরা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের দাবি অনুযায়ী, মাতৃভাষা হিসেবে বাংলা ভাষা ব্যবহারকারীর সংখ্যা তৃতীয়? সে হিসাবে বাংলা ভাষাকে একটি অনন্য অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার বড় সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।’ মঞ্চসারথি আতাউর রহমান বলেন, ‘আনন্দ থেকে সৃজন হয় না, উল্লাস থেকে সৃজন হয় না, সৃজনের জন্ম হয় দুঃখ থেকে। অনেকেই বলেন, আগের মতো থিয়েটার নেই। হয়তো রেনেসাঁসের মতো জাগরণ নেই। সব সময় সেটা হয় না। হয়তো পুনর্জাগরণ আবার আসবে, তখন হয়তো আমি থাকব না।’

এথিক সভাপতি রেজানুর রহমান রেজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, এথিকের সাধারণ সম্পাদক মণিকাঞ্চন। গত বছর প্রথম বারের মতো ৫০ জনকে সম্মাননা দিয়েছিল এথিক নাট্যদল। সম্মাননা প্রদান শেষে এথিকের নাটক ‘রাজদ্রোহী’র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন রেজানুর রহমান। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন রেজানুর রহমান, সুমনা সোমা, মনি কাঞ্চন, সুকর্ন হাসান, মিন্টু সরদার, সবুজ রহমান, রিমন, আজিম উদ্দিন, রুনি ও অপ্সরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *