শান্তিতে নোবেলজয়ীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিল বেলারুশ

নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী বেলারুশের মানবাধিকারকর্মী অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। মানবাধিকারের লড়াইয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখায় ২০২২ সালের ৭ অক্টোবর তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
বিয়ালিয়াৎস্কির সঙ্গে গত বছর যৌথভাবে রাশিয়ার মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল এবং ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিস শান্তি পুরস্কার পেয়েছিল।

বেলারুশের অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কিকে যখন নোবেল দেওয়া হয় তখন তিনি কারাগারে বন্দী ছিলেন। ওই সময় তার বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম চলছিল।
১৯৯৬ সালে ভিয়াসনা (বসন্ত) নামে একটি মানবাধিকার সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি। পরে ভিয়াসনা ব্যাপক বিস্তৃত মানবাধিকার সংস্থা হিসেবে গড়ে ওঠে। রাজনৈতিক বন্দীদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের নিপীড়ন-নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্ত এবং এর প্রতিবাদ করে আসছে অ্যালেসের এই সংস্থা। এছাড়া রাজবন্দীদের সহায়তাও করে তারা।

তবে ২০২০ সালে সরকার বিরোধী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অপরাধে বিয়ালিয়াৎস্কিকে আটক করে বেলারুশের নিরাপত্তাবাহিনী।
২০২০ সালে বেলারুশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। কিন্তু এ নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেয়নি বিরোধী দলগুলো। এরপ্রেক্ষিতে দেশটিতে ওই বছর ব্যাপক আন্দোলন হয়।

বেলারুশের নিরাপত্তাবাহিনীর দাবি, অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি সরকার বিরোধী এ আন্দোলনে মদদ ও অর্থায়ন করেছেন। বিয়ালিয়াৎস্কি ছাড়াও তার মানবাধিকার সংস্থার আরও কয়েকজন সদস্যকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বেলারুশের বিরোধীদলীয় নেতা সোভিতেলানা তিসিখানোসকায়া এ রায়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এটি একটি ‘লজ্জাজনক অবিচার।’ বেলারুশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো ১৯৯৪ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন। তাকে আধুনিক ইউরোপের শেষ স্বৈরাচার হিসেবে অভিহিত করে থাকে পশ্চিমা দেশগুলো। লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনৈতিক দল, মত এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের মুখ চেপে ধরার অভিযোগ রয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা, ঢাকা পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *