রাজশাহীতে বাড়ছে তাপপ্রবাহ, কমছে আর্দ্রতা

নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহীতে গত চারদিন ধরে চলছে মাঝারি তাপপ্রবাহ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রার পারদ উপরে উঠছে। দুপুর ৩টা নাগাদ ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁইছুঁই। এরপর আবারো তাপমাত্রা কমে আসছে। আর তাপমাত্রার ঠিক বিপরীত চিত্র আর্দ্রতায়। মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯২ শতাংশ। যেটা দুপুর ৩টায় দাঁড়ায় মাত্র ১৫ শতাংশ।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্য পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত ১০ এপ্রিল দুপুর ৩টায় ছিল ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ১৬ শতাংশ। এদিন বেলা ১২টায় তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা ১টায় বেড়ে দাঁড়ায় ৩৮ ডিগ্রিতে। আর এমন চিত্র আরও সপ্তাহখানেক থাকবে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।

পবা উপজেলার দামকুড়া এলাকার বাসিন্দা আকবর আলী জানান, তিনি এবার দেড় বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। ধান লাগানোর পরে বৃষ্টি হয়নি। এখন ঘন ঘন সেচ দিতে হচ্ছে। সেচের জন্য দীর্ঘ সিরিয়ালও পড়ছে। আর সেচ দেয়ার দুদিন পরই জমি শুকিয়ে ফাটল দেখা দিচ্ছে। বৃষ্টি না হলে স্বস্তি নেই। অপরদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বোরো ধানের জমিতে পর্যাপ্ত সেচ দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে কৃষি বিভাগ। যদিও কৃষি বিভাগের দাবি, এখন পর্যন্ত কৃষিতে তেমন কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর রাজশাহীর অতিরিক্ত পরিচালক শামসুল ওয়াদুদ জানান, এ আবহাওয়ায় বোরো ধান চাষে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাবের শঙ্কা থেকে জমিতে পানি ধরে রাখতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অন্য কোনো ফসলের ক্ষতির শঙ্কা এখনো নেই।

তিনি আরও জানান, আমের মুকুল থেকে এখন গুটি হয়ে গেছে, এছাড়া অন্যান্য রবি শস্য এখন শেষের দিকে। এ কারণে কৃষিতে তেমন ক্ষতি হবে না। মাঝারি তাপপ্রবাহ আরও কতদিন স্থায়ী হবে তা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো বার্তা নেই আবহাওয়া দফতরের কাছে। তবে আরও সপ্তাহখানেক এমন অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানাচ্ছেন তারা।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজিব খান জানান, তাপমাত্রা বৃষ্টি ছাড়া কমার সম্ভাবনা নেই। তবে শুষ্কতার কারণে মানুষ সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে। আর তাপমাত্রা বাড়লে শুষ্কতার সমস্যাও থাকে। আর সপ্তাহখানেকের মধ্যে বৃষ্টির তেমন কোনো সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *