বাগমারা প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাগমারায় পল্লী বিদ্যুতের আওতায় বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির হিড়িক পড়েছে। একটি কুচক্রীমহল কৃষকদের পানি সেচ কাজে ব্যবহৃত মাঠে মটরের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমা রাতের অন্ধকারে চুরি করে বেকায়দায় ফেলছেন কৃষকদের।
গত ১২ মাসে উপজেলার ১৩টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমা চুরি হওয়ায় ওই এলাকার কৃষকরা চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন। বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার হারানোর কারণে সেচযন্ত্র বন্ধ হতে বসেছে। একের পর এক বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমা ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক মালামাল চুরি রোধে বাগমারা জোনাল অফিস, নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ১ ও বাগমারা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বেলা ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ,এফ,এম আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন, নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ১ বাগমারা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মিনারুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দিক নির্দেশনা ও সচেতনমূলক বক্তব্য দেন নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী এমদাদুল হক। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আকতার বেবী, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুল, চেয়ারম্যান মাষ্টার লুৎফর রহমান ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রতিনিধি এস আই সুব্রত কুমার প্রমূখ। বক্তারা বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও বৈদ্যুতিক মালামাল চুরি রোধে গ্রাহক, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসনকে সচেতন হবার তাগিদ দেন। গ্রাম মহল্লায় সেচ কাজে ব্যবহিত মৌসুমের পর পর বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে হস্তান্তর ও পাহারার ব্যবস্থা ও সম্ভব হলে চুরি রোধে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার নিকটে আলোর ব্যবস্থাসহ পাহারাদার নিযুক্ত করার পরামর্শ প্রদান করেন। তাঁরা বলেন, একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার দাম অন্ততঃ ৬০ হাজার টাকা সেটা চুরি করে তার ভিতর থেকে তামার তার ৩/৪ কেজি বিক্রির উদ্দেশ্যে চুরি করে দুর্র্বৃত্তরা। কেজি প্রতি হাজার বারোশ’ টাকায় বিক্রি করে বড় কোন ধরনে লাভবান না হলেও কৃষকদের বড় ধরনের ক্ষতি করে চক্রটি। এ হতে রক্ষা পেতে সকলকে সচেতন ও প্রতিরোধের তাগিদ দেয়া হয়।