জনতার ভাগ্য ফেরাতে এমনই কীর্তি গড়লেন মেক্সিকোর এক মেয়র। ছোট্ট শহর সান পেদ্রো হুয়ামেলুলার মেয়র ভিক্টর হুগো সোসা। তাঁর সঙ্গে কুমিরের বিয়ের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। রীতিমতো কনের সাজে কুমিরটিকে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা। ছবিতে কুমিরটিকে চুম্বন করতে দেখা যাচ্ছে মেয়রকে।
তবে এই ঘটনা নতুন নয়। মেক্সিকোর সান পেদ্রো শহরের রীতি মেনেই এই বিয়ে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির মিলনের নিদর্শন হিসাবেই এই বিয়ের প্রথা চলে আসছে বহুদিন ধরেই। ইতিহাস অুযায়ী, অন্তত ২৩০ বছর ধরেই তা চলে আসছে। এই কুমিরকে মনে করা ধরিত্রী মায়ের প্রতীক। তার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে হয় স্থানীয় নেতাকে। যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়, সঠিক ভাবে চাষবাস হতে পারে- এই সব কারণেই বিয়ের অনুষ্ঠান করা হয়। গত বছরও মেক্সিকোর মেয়রকে কুমিরের সঙ্গে পরিণয়ে আবদ্ধ হতে দেখা গিয়েছিল।
এদিনও সেই প্রথা মেনেই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। সাদা গাউন পরে বিয়ের সাজে দেখা যায় কুমিরটিকে। নাচগান করে বিয়ের আসর জমিয়ে দেন স্থানীয়রা। বাজনা বাজিয়ে বরকে স্বাগত জানানো হয়। নববধূকে রাজকুমারী বলে সম্বোধন করেন মেয়র সোসা। বলেন, ”ভালবাসা ছাড়া কোনও বিয়ে হয় না। আমি ওই দায়িত্ব নিচ্ছি কারণ আমরা একে অপরকে ভালবাসি।”
প্রসঙ্গত, বহু দেশেই এমন নানা প্রথা থাকলেও কালের নিয়মে সেগুলি হারিয়ে গিয়েছে। কিন্তু মেক্সিকোর এই অঞ্চলের বাসিন্দারা পুরনো প্রথা মেনে চলতেই পছন্দ করেন বরাবর। তাই আজও ধুমধাম করে মানুষ-কুমিরের বিয়ে হয় সেখানে। যা মনে করিয়ে দেয় রূপকথার কথা। কিন্তু মেক্সিকোর এই প্রথা কোনও রূপকথা নয়। তা নিখাদ বাস্তব।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন