ছবি : এএফপি
কম্বোডিয়ায় একটি স্কুল থেকে হাজার হাজার অবিস্ফোরিত গোলাবারুদ আবিষ্কৃত হয়েছে। গোলাবারুদ উদ্ধারের পর সাময়িকভাবে স্কুলটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কম্বোডিয়ায় নৃশংস গৃহযুদ্ধের অবসানের ৪৮ বছর পরও বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাইন স্থাপন করা দেশগুলোর একটি হিসেবে রয়ে গেছে।
গৃহযুদ্ধের সময় ক্রাটি প্রদেশের কুইন কোসোমাক উচ্চ বিদ্যালয়টি একটি সামরিক ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করা হতো।
সেখানেই হাজার হাজার অবিস্ফোরিত গোলাবারুদ উদ্ধার হয়। প্রকাশিত ছবিতে বিপুল পরিমাণ মরিচা-ধরা বিস্ফোরক সুন্দরভাবে সারিবদ্ধভাবে রাখা অবস্থায় দেখা যায়। উদ্ধারকৃত এসব বিস্ফোরকের মধ্যে গ্রেনেড এবং অ্যান্টি-ট্যাংক লঞ্চারও রয়েছে।
কম্বোডিয়ার মাইন অ্যাকশন সেন্টারের মহাপরিচালক হেং রাতানা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, তিন দিনে মোট ২ হাজারের বেশি অস্ত্র আবিষ্কৃত হয়েছে।
তিনি বলেছেন, বাগান আরো বড় করার জন্য মাঠটি পরিষ্কার করা হচ্ছিল। তখনই অস্ত্রগুলো পাওয়া যায়। পুরো স্কুলটি আরো পরিষ্কার করলে সম্ভবত আরো অস্ত্র পাওয়া যাবে।
হেং রাতানা বলেন, ‘এটি শিক্ষার্থীদের জন্য দুর্ভাগ্যের বিষয়।
যদি কেউ মাটি খুঁড়ে এবং এই বিস্ফোরক ডিভাইসগুলোতে আঘাত করে তবে এগুলোর বিস্ফোরণ ঘটানো সহজ।’ পরিচ্ছন্নতা সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। এই কাজ শেষ করতে দুই দিন সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কম্বোডিয়ায় আট বছর ধরে গৃহযুদ্ধ চলেছিল। ১৯৭৫ সালে শেষ হয় সেই গৃহযুদ্ধ।
তবে গৃহযুদ্ধ শেষ হলেও যুদ্ধ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে দেশটি পরবর্তী সময়ে বেশ ভুগেছে। দ্য হ্যালো ট্রাস্টের তথ্য অনুসারে, সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ল্যান্ডমাইনগুলোর কারণে ১৯৭৯ সাল থেকে কম্বোডিয়ায় ৬৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া একই সময়ে মাইনের আঘাতে দেশটিতে ২৫ হাজার মানুষের অঙ্গচ্ছেদের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি