কেনা-বেচার পাকা ভাউচার রাখার নির্দেশ
নিউজ ডেস্ক:
ডাবের দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় কয়েক দিন ধরে আড়তে ও বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হচ্ছে। সোমবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনে ডাবের পাইকারি বিক্রেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
ভোক্তার মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান সভায় বলেন, ‘ভাবিনি ডাব নিয়ে আমাদের এভাবে কাজ করতে হবে। ডাবের দাম বাড়ানোর যেসব তথ্য পাওয়া গেছে এটা অপ্রত্যাশিত।
এদিকে গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর ও কারওয়ান বাজারের ডাব ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মধ্যস্বত্বভোগীরাই ডাবের দাম বাড়াচ্ছে। তাঁরা বলেন, কয়েক হাত ঘুরে খুচরা পর্যায়ে একটি ডাবের দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর শান্তিনগরের রিকশাচালক রহমত বলেন, আমার বাড়ি পটুয়াখালী। বেশ কিছু দিন ডেঙ্গুতে ভুগে গতকাল ঢাকায় এসেছি।
গ্রামে একটি ডাব খেয়েছি ৫০ টাকায়, সেই ডাব এখানে ১৫০ টাকা চায়।
কারওয়ান বাজারের ডাবের ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলী বলেন, ডেঙ্গুর কারণে স্বাভাবিক সময়ের থেকে ডাবের চাহিদা বেড়েছে। উত্পাদনও কম। পরিবহন খরচ বাগান থেকে নিয়ে মাঝখানে পাইকাররা ৪০-৫০ টাকা লাভ করে।
আমরা ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি করি। এই ডাব ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি করছেন খুচর ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর গুলশানে সিকদার মেডিক্যালের সামনে ডাব খাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী মাহবুব মোর্শেদ। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গুকে পুঁজি করে ডাবের বাজারে ভোক্তাকে জিম্মি করে ফেলেছেন ডাব ব্যবসায়ীরা। একটি ডাব কিনেছি ১৮০ টাকায়।
ভোক্তার মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান বলেন, ‘সারা দেশে ডাবের ক্রয় কত, বিক্রয় কত সে ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের নিজেদের প্রতিষ্ঠানের প্যাডে পাকা ভাউচার রাখতে হবে। ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ী এটা বাধ্যতামূলক। এখন এটা আমরা শক্তভাবে ধরছি।’
সভায় যাত্রাবাড়ী এলাকার ডাবের আড়তদার প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম বলেন, ভোলা, বরিশাল, নোয়াখালী ও পিরোজপুর থেকে ব্যাপারীরা পরিবহনে চালানসহ আমাদের কাছে ডাব পাঠিয়ে দেয়; কিন্তু কোনো পাকা রসিদ দেয় না। তাঁরা মৌখিকভাবে ডাবের মূল্য নিধারণ করে দেয়। তারপর বিভিন্ন সাইজ অনুযায়ী আমরা সেই ডাব বিক্রি করি। আমরা নিজেদের মতোই মূল্য নির্ধারণ করে থাকি।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবিরসহ এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি, ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।