বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়
নিউজ ডেস্কঃ
দ্রুতগতিতে একটি বাস অপর একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে ইজিবাইককে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে একজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরেকজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ইজিবাইকের চালকসহ পাঁচজন আহত হন। আহতদের গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আজ শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার দাসেরহাট নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ও আহতরা সবাই ইজিবাইকের যাত্রী ও চালক। পরে ঘাতক বাসটিকে এক কিলোমিটার পথ ধাওয়া করে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় মহাসড়কের এক কিলোমিটারজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
নিহতরা হলেন- কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের আকমাল শেখের স্ত্রী রানু বেগম (৬০), একই ইউনিয়নের আব্দুল হকের ছেলে হায়াত শেখ (৬৫)। আহতরা হলেন- একই ইউনিয়নের ইজিবাইকচালক ফুল মিয়া (৪৫), লামিয়া (১৫), জাবেদা (৪৫), খুকি বেগম (৪৭)। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. আবু নোমান জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দোলা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস খুলনার দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মুকসুদপুর উপজেলার দাশেরহাট এলাকার বি কে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছলে অন্য একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে কাশিয়ানী থেকে ছেড়ে আসা মুকসুদপুরগামী ইজিবাইকটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে হায়াত আলী শেখ নামে একজনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা ঘাতক বাসটিকে এক কিলোমিটার ধাওয়া করে আগুন ধরিয়ে দিলে প্রায় এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে এবং মহাসড়কের প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১৫ মিনিটের চেষ্টায় বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। নিহতদের লাশ পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।