বাগমারা প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাগমারায় বিএনপি, জামায়াতের ১৪ নেতাকর্মী কে আটক করেছে থানা পুলিশ। তবে আটকের তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে পুলিশ। ঢাকার বিএনপি, জামায়াতের সমাবেশে পুলিশ সদস্য নিহত ও সহিংসতার পর বাগমারায় রাতভর অভিযান চালায় বাগমারা থানার পুলিশ। এর আগে শনিবার বাগমারা থানার পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা করে। মামলায় গ্রেফতার হওয়া আসামি ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ১৪০-১৫০জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশের অভিযানে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী আটক করলেও স্থানীয় সাংবাদিকদের সুনিদিৃষ্ট তথ্য দেয়া হয়নি। তবে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম ১৪ জনকে আটকের কথা জানিয়েছেন। আটকৃতদের বিস্তরিত নাম জানতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সারোয়ারের কাছে খোঁজ নিতে বলেন। থানার এসআই সারোয়ারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বারবারই বাইরে আছেন বলে কেটে দেন। একই ভাবে বিষয়টি জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন ডিউটি অফিসার এএসআই সাবিনা।
এ দিকে সঠিক তথ্য না পেয়ে এদিক সেদিক ছুটাছুটি করছেন আটক বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপি জামায়াতের সমাবেশে সংঘর্ষের সময় পুলিশের এক সদস্য নিহত হয়। পুলিশ সদস্য নিহতের পর পরই রাজশাহীর বাগমারা থানা পুলিশ বিএনপি- জামায়াতের নেতাকর্মীদের ্আটকের জন্য মাঠে নামে। গত শনিবার বিকালে আটক করেন উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের জামায়াত সমর্থিত দেউলিয়া গ্রামের আব্দুল জলিল (৫০), রাতে ভবানীগঞ্জ পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক আক্তারুজ্জামান বল্টু, ভবানীগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আতিকুর রহমান জজ, পৌর বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবিব, হামিরকুৎসা ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবক দলের নেতা বাচ্চু সহ ১৪ জনকে আটক করলেও পুলিশ তাদের নাম ও পরিচয় দিতে অপারগতা প্রকাশ করে।
বিষয়টি জানতে চাইলে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, আসামিরা সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আটক হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নাশকতা সৃষ্টিরও পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।