‘খেজুরের কাঁচা রস অনিরাপদ, বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে’

এ গবেষণাদলের প্রধান গবেষক আইসিডিডিআর,বি-এর ইনফেকশাস ডিজিজেস ডিভিশনের অন্তর্গত ইমার্জিং ইনফেকশন্স শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট সায়েন্টিস্ট ও ডেপুটি প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ড. সৈয়দ মইনুদ্দীন সাত্তার বলেন, ‘আমাদের জানা মতে, এ গবেষণাই প্রথম নিপাহ ভাইরাসভিত্তিক ইমিউন প্রোপার্টিজের ভাটিকেল ট্রান্সফার বা মা থেকে শিশুতে পরিবাহিত হওয়ার প্রমাণ নিশ্চিত করে। ভাইরাস নিউট্রিলাইজেশনের কার্যকারিতা এবং নবজাতকের সুরক্ষার সম্ভাব্যতার বিষয়ে আরও গবেষণা করা প্রয়োজন। এটি নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে গর্ভবতী ও কমবয়সী নারীদের জন্য টিকা তৈরির ক্ষেত্রে একটি রেফারেন্স হিসেবেও কাজ করবে বলে আমরা আশাবাদী।’

আইসিডিডিআর,বি-এর নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ জাতীয় নিপাহ সার্ভেইল্যান্সের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, আইসিডিডিআর,বি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শনাক্তকরণ, রোগের সংক্রমণের ধরণ ও মারাত্মক সংক্রমণের বিরুদ্ধে থেরাপিউটিকস এবং ভ্যাকসিন তৈরিতে নতুন তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহে বিশ্বের দীর্ঘতম নিপাহ ভাইরাস সার্ভেইল্যান্স পরিচালনা করছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি সফল প্রচেষ্টা। আমি আশা করি, শিগগির নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও চিকিৎসা বের করতে পারবো, যা অনেক মানুষের জীবন বাঁচাতে সক্ষম হবে।’

নিপাহ ভাইরাস একটি জুনোটিক ভাইরাস অর্থাৎ এটি প্রাণী থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়। এটি দূষিত খাদ্য অথবা সরাসরি মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে। টেরোপাস জেনাসের ফলখেকো বাদুড় এ ভাইরাসের প্রাকৃতিক ধারক। বর্তমান সময়ের একটি অন্যতম এমারজিং মহামারি সৃষ্টিকারী রোগের মধ্যে একটি।

বাংলাদেশে ২০০১ সালে প্রথম এ ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তখন থেকে এ জনবহুল দেশে প্রায় প্রতি বছরই অনেক মানুষ মারা যায়। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৩১ জন মানুষ নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন, যার মধ্যে ২৩৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
তথ্যসূত্র: জাগোনিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *