চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (গোমস্তাপুর, নাচোল, ভোলাহাট) আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে এগারোটায় রহনপুর পুরাতন বাজারস্থ নিজ বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন প্রার্থীর আত্মীয় মুসলেম উদ্দীন সরকার। এসময় প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার পাশে বসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নির্বাচনী মাঠে তার ‘আপেল’ প্রতীকের কর্মী ও সমর্থকের ওপর হামলা চালাচ্ছে প্রতিপক্ষরা। ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। রাতের অন্ধকার তারা পোষ্টার ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেছে। ভোট কেন্দ্রে নৌকার ভোটার ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দিবে এমন সংবাদ আসছে মাঠ পর্যায় থেকে। সাধারণ ভোটারদের প্রতিহত করার জন্য বিভিন্ন পথসভায় উন্মুক্ত বক্তব্য দিচ্ছেন। এদের নাম দিচ্ছেন বিএনপি-জামাত ভোটার। প্রকৃতপক্ষে যাদের নাম ভোটার তালিকায় থাকবে তারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন, এটা গণতান্ত্রিক অধিকার যা সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত।
লিখিত বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, প্রতিটি নির্বাচনের আগের ৩ দিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সচেতনমূলক মাইকিং করা হয়। কিন্তু এইবার অদৃশ্য কারণে করা হয় নি। বাড়ি থেকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া পর্যন্ত জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহবান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। এছাড়া গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগীতা চেয়েছেন তিনি।
এদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহা. জিয়াউর রহমান সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। উল্টো আপেল প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা বিভিন্ন জায়গায় নৌকার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করেছে। কয়েকদিন আগে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে রাতের অন্ধকারে শাড়ি বিতরণের সময় আপেলের কর্মীদের আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়। এমনকি মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারী) দুপুরেও পার্বতীপুর ইউনিয়নে আদিবাসীদের মাঝে টাকা প্রদান করার সময় স্থানীয় জনতা আটক করে রেখেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মোতাওয়াক্কিল রহমান মুঠোফোনে জানান, প্রথম থেকেই তিনি এমন অভিযোগ করছেন। এমন কোন অভিযোগ পেলেই আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, রাজশাহী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের অন্য প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহা. জিয়াউর রহমান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের নাবীউল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী খুরশিদ আলম বাচ্চু, জাকের পার্টির প্রার্থী গোলাম মোস্তফা।