পেশোয়ারের মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের দায় নিল পাক তালিবান বা তেহরিক-ই-তালিবান। জেহাদি সংগঠনের কমান্ডার সরবাকফ মহম্মদ হামলার দায় স্বীকার করেছে। ইতিমধ্যে এই বিস্ফোরণে প্রাণ গিয়েছে অন্তত ৪৬ জনের। জখম শতাধিক। মৃতের সংখ্যাও লাফিয়ে বাড়ছে।
পেশোয়ারের মসজিদ এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি বিস্ফোরণে জখমদের সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি। পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রাণা সানাউল্লাহ। তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীকে বিস্ফোরণ সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জানানো হয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্র নিন্দা করেছেন পাক ক্রীড়াবিদরাও।
পাকিস্তানের মাটিতে লাগাতার নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে পাক তালিবান বা তেহরিক-ই-তালিবান। স¤প্রতি এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে তালিবান শাসন কায়েম হওয়ার পর থেকেই অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে বিভিন্ন জেহাদি সংগঠনগুলি। বিশেষ করে পাকিস্তানে একাধিক হামলা চালিয়েছে, টিটিপি।
বারবার আলোচনায় বসেও সংগঠনটিকে অস্ত্র পরিহারে বাধ্য করতে পারেনি পাক প্রশাসন। আফগান তালিবানের কাছে দরবার করেও বিশেষ ফল পায়নি ইসলামাবাদ। এবারও মসজিদের হামলার পিছনে সেই পাক তালিবানের নামই উঠে এল। একদিকে দারিদ্র্য তো অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদ, জোড়াফলায় কার্যত বিধ্বস্ত পাক সরকার।
এদিন দুপুর ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ নমাজের পরই জোরালো বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পেশোয়ারের পুলিশ লাইনের মসজিদটি। বিস্ফোরণের জেরে প্রার্থনা গৃহের ছাদ ও দেওয়ালের একাংশ ভেঙে পড়েছে। প্রাণ গিয়েছে অন্তত ৪৬ জনের। জখম অন্তত ১৪০।
পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জিও এবং সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, মসজিদের অন্দরে আত্মঘাতী হামলা চলেছে। জানা গিয়েছে, নমাজ পড়ার সময় সামনের সারিতেই হাজির ছিল হামলাকারী। প্রার্থনা শেষ হতেই নিজেকে উড়িয়ে দেয় সে।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন