রাজশাহির বাগমারায় ঘরের দরজায় শিকল তুলে দিয়ে গরু নিয়ে পালিয়ে গেছে চোর।গোয়ালঘরে কিছু ভাঙার শব্দ পেয়ে ঘুম ভেঙে যায় কৃষক আশেক আলীর। শোবার ঘর থেকে বেরিয়ে গোয়ালে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে চোরেরা দরজায় শিকল আটকে দেওয়ার কারণে তিনি বের হতে পারেননি।
গোয়াল ঘরে গরু রেখে শোবার ঘরের জানালার একটি অংশ খুলে রেখে রাতভর পাহারা দিতেন কৃষক আশেক আলী (৫০)। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। চোরেরা গোয়ালঘরের তালা ভেঙে চুরি করে নিয়ে গেছেন প্রায় দুই লাখ টাকা দামের একটি গরু। বাইরে থেকে ঘরের দরজায় শিকল দেওয়ায় চোখের সামনে গরু নিয়ে যেতে দেখলেও রক্ষা করতে পারেননি তিনি।
ঘটনাটি রাজশাহীর বাগমারার। কৃষক আশেক আলীর বাড়ি উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের চাম্পাকুড়ি গ্রামে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
কৃষক আশেক আলী বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে গবাদি পশু পালন করতেন। সেগুলো মোটাতাজা করে বিক্রি করতেন। তাঁর গোয়ালে একটি বড় ষাঁড়, একটি গাভি ও কয়েকটি ছাগল ছিল। গোয়ালঘরের পাশেই তাঁদের শোবার ঘর। সেখানে স্ত্রী সন্তান নিয়ে থাকতেন। গোয়াল ঘরের দরজায় একটি বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে ও নিজেদের শোবার ঘরের জানালার একটি অংশ খুলে রাখতেন রাতভর। জানালা দিয়ে গোয়ালঘরের প্রতি নজর রাখতেন। বৃহস্পতিবার রাতে গোয়ালঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন সবাই। রাত আড়াইটার দিকে গোয়ালঘরের কিছু ভাঙার শব্দ শুনতে পান। এতে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। জানালা দিয়ে তাকিয়ে গোয়ালঘরের দরজা ভাঙা দেখতে পান। এ সময় তিনি নিজের শোবার ঘর থেকে বেরিয়ে গোয়ালে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে চোরেরা বাড়ির প্রধান দরজায় শিকল আটকে দেওয়ার কারণে তিনি বের হতে পারেননি।
এ সময় তিনি দ্রুত দরজা ধাক্কা দিয়ে ভেঙে বের হয়ে চিৎকার শুরু করেন। তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরাও ছুটে আসেন। ততক্ষণে চোরেরা গোয়ালঘর থেকে একটি ষাঁড় বের করে পিকআপে করে ভবানীগঞ্জ-আত্রাই সড়কের ভবানীগঞ্জের দিকে দ্রুত চলে যায়। কিছুক্ষণ পর একজন প্রতিবেশীকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে চড়ে চোরদের ধরার চেষ্টা করেন। তবে চোরেরা ভবানীগঞ্জ গোডাউন মোড়ে এসে দিক পরিবর্তন করলে ধরতে ব্যর্থ হন।
।