বাগমারায় দাবদাহ ও লোডশেডিং বেড়ে দূর্বিসহ জনজীবন


বাগমারা প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাগমারা ও আশেপাশের এলাকায় দাবদাহের মধ্যে চলছে ভয়াবহ লোডিশেডিং। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বাগমারার মানুষ। দিনে অন্তত ১০-১৫ বার লোডশেডিং দিচ্ছে পল্লী বিদ্যুত। ফলে আবাসিক গ্রাহক ছাড়াও ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কৃষিতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নাটোর পল্লী বিদ্যুতের বাগমারা জোনাল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় গ্রীড ফেল করায় বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা সহ সারা দেশ জুড়ে বিদ্যুত বিপর্যয় দেখা দেয়। এছাড়া চাহিদার তুলনায় বিদ্যুত উৎপাদন কম হওয়ায় চাহিদা মাফিক বিদ্যুত পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ধীরে ধীরে এ সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।
এদিকে গেল কয়েকদিন ধরে চলছে প্রখর রোদে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে উপজেলা জুড়ে মানুষের জীবনযাত্রা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। উপজেলার মাড়িয়ার ভ্যান চালক আফজাল হোসেন, আলোকনগর গ্রামের আব্দুস সালাম জানান, আগে সারাদিন ভ্যান চালিয়ে ৪/৫শ টাকা আয় হতো। এখন প্রচণ্ড গরমের কারণে রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমে গেছে। এখন সারাদিন ভ্যান চালিয়ে ২/৩শ টাকা আয় করা মুশকিল হয়ে পড়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, সারা দেশ জুড়েই প্রচণ্ড দাবদাহ চলছে। তবে বাগমারা সহ আশেপাশের এলাকায় বৈশাখের শুরুতে বৃষ্টিপাত হওয়ায় বোরো ধানের তেমন ক্ষতির আশংকা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আর সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে । আগাম বোরো ধান এরই মধ্যে পাকতে শুরু করেছে । তার মতে, এখানে বিদ্যুতের লোডশেডিং থাকলেও চাষীরা বোরো ধানে সেচ দিতে পারছেন। এছাড়াও আবহাওয়াজনিত বিপর্যয়ের কারনে শিশুসহ সব বয়সের মানুষের স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম রাব্বানী বলেন, তাপ প্রবাহের কারণে সর্দি- জ্বর ও ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে এসে চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। তবে এখনও তেমন রোগীর সংখ্যা বাড়েনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *