ম্যাসাজ থেরাপি বাতের ব্যথা কমাতে দারুণ কার্যকরী। সে জন্য ব্যথার স্থানে সপ্তাহে অন্তত একদিন ম্যাসাজ করুন।
যারা বাতের ব্যথায় ভুগছেন, তাদের জন্য শীতকালটা আরও বেশি কষ্টদায়ক। শীতে ব্যথা বেড়ে যায়। যার ফলে হাঁটাচলা এবং স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে সমস্যা হয়। পাঁচটি সহজ নিয়ম মেনে চললে শীতকালেও বাতের ব্যথাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিস্তারিত। চলুন দেখে নিই।
শরীরচর্চা করুন
শীতকালে ঠান্ডার কারণে মানুষ হাঁটাচলা তথা পরিশ্রম করে কম। ফলে দেহের হাড় এবং পেশির সঞ্চালন খুব একটা হয় না। তাই শীতকালে শরীরচর্চা করা খুবই প্রয়োজন। এ সময় নিয়মিত শরীরচর্চা করলে হাড়, গিরা এবং পেশির সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে বলে বাতের ব্যথা কমে আসে।
গরম শেক দিন
শীতের প্রকোপে অনেকের হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে। এই প্রবণতার কারণে বাত আরও জেঁকে বসে। তাই এ সময়ে শরীর গরম রাখা খুবই জরুরি। গরম পানির শেক দিয়ে খুব সহজেই কোমর, হাঁটু, পায়ের পাতাসহ অন্যান্য অঙ্গ গরম রাখা যায়। নিয়মিত শেক দিতে পারলে বাত খুব একটা সুবিধা করতে পারে না।
কমাতে হবে ওজন
ভারী শরীর বাতের ব্যথাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। শরীরের সব ওজনটাই আমাদের কোমর এবং হাঁটুর ওপর পড়ে। অতিরিক্ত ওজনের ফলে ক্রমাগত ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে কোমর ও হাঁটু। তাই বাতের ব্যথার সমস্যা দূর করতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি।
ম্যাসাজ থেরাপি নিন
ম্যাসাজ থেরাপি বাতের ব্যথা কমাতে দারুণ কার্যকরী। সে জন্য ব্যথার স্থানে সপ্তাহে অন্তত একদিন ম্যাসাজ করুন। এভাবে চালিয়ে যান পুরো আট সপ্তাহ। তাতে ব্যথা কমে আসবে।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
আমাদের শরীরে পানির চাহিদা ২৪ ঘণ্টায় তিন লিটার। সুস্থ থাকতে এই পরিমাণ পানি পান করা খুব জরুরি। শীতকালে ঘাম হয় না বলে শরীরে পানির চাহিদা একটু কমে আসে। সে সময় দুই লিটার পান করলেও চলে। তবে এর চেয়ে কম পানি পান করলে বাতের ব্যথা জেগে উঠতে পারে।
সূত্রঃ নিউজ বাংলা২৪.কম