বিএনপির কাছে ক্ষমতা মানে দেশকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়াঃ ওবায়দুল কাদের

বিএনপির হাতে ক্ষমতা দেওয়া মানেই দেশকে আলো থেকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়া বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শেখ হাসিনার উন্নয়নের জোয়ারে বিএনপির আন্দোলনের জোয়ার তলিয়ে যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) কামরাঙ্গীরচরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির হাতে ক্ষমতা দেওয়া মানেই দেশকে আলো থেকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়া। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বৈশ্বিক সংকটের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বেশি দামে আমদানি করে কম দামে বিক্রি করতে হয়।

আমরা পরিস্থিতিকে অস্বীকার করছি না, শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করছেন যেন জনগণের দুঃসময় কেটে যায়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুল সাহেব, পাকিস্তান আমল নাকি ভালো ছিল। পাকিস্তানে তিন সপ্তাহের আমদানি রিজার্ভ নেই। ২৬২ রুপি সমান এক ডলার। পাকিস্তান এখন আইএমএফের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। বাংলাদেশ বাংলাদেশই থাকবে। বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়াবে। আপনারা ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশকে আজকের পাকিস্তান বানাবেন। আমরা এটা হতে দেবো না। বিএনপির হাতে ক্ষমতা দেওয়া মানেই আলো থেকে অন্ধকারে যাওয়া।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, মানুষের জানমাল রক্ষায় আমরা ওয়াদাবদ্ধ। আমরা শান্তি চাই। এজন্য শান্তি সমাবেশ করছি।

তিনি বলেন, বিএনপির মিছিলে কর্মী কমে গেছে। গণঅভ্যুত্থানের কথা বলেন,  গণআন্দোলনই করতে পারলেন না, গণঅভ্যুত্থান করবেন! শেখ হাসিনার উন্নয়নের জোয়ারে বিএনপির আন্দোলনের জোয়ার তলিয়ে যাবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ কামাল প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *