রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবে একটি ভবনে বিস্ফোরণ এবং তাতে আংশিক ধস গ্যাসের কারণে হতে পারে বলে ধারণা করছে ডিএমপির বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।
ভবনটিতে কোনো না কোনোভাবে গ্যাস জমে ছিল। জমে থাকা গ্যাসের ঘনমাত্রা ৫-১১ হলে, এরপর তাতে কোনোভাবে যদি ট্রিগার হয়, তবে এই ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে।
রোববার (৫ মার্চ) দুপুরে সায়েন্স ল্যাবের বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এসব তথ্য জানান বম্ব ডিসপোজাল দলের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার (এডিসি) রহমত উল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ভবনটিতে কোনো না কোনোভাবে গ্যাস জমে ছিল। জমে থাকা গ্যাসের ঘনমাত্রা যদি ৫-১১ হয়, এরপর যদি ট্রিগার হয়, তাহলে এই ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে। এই ট্রিগার যেকোনো ইলেকট্রিক সুইচ, ফ্যানের সুইচ ও এসির সুইচের মাধ্যমেও হতে পারে। তাই ধারণা করা হচ্ছে এটি গ্যাস থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণ। আর এত বড় বিস্ফোরণ গ্যাস থেকেই সৃষ্টি হয়ে থাকে।
বিস্ফোরণের ঘটনা একটি বাণিজ্যিক ভবনে ঘটেছে, তাহলে ভবনটিতে কীভাবে গ্যাস জমতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে যেকোনোভাবে গ্যাস জমা হয়ে থাকতে পারে। তা সুয়ারেজ লাইনের মাধ্যমেও হতে পারে।
রহমত উল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে সাইন্সল্যাবের বিস্ফোরণের ঘটনাটি ২০২১ সালে ঘটে যাওয়া মগবাজারের বিস্ফোরণের মতো গ্যাস থেকে সৃষ্ট একটি বিস্ফোরণ।
তিনি বলেন, নগরবাসীকে সচেতন থাকতে হবে বৈদ্যুতিক সুইচ ও গ্যাসের চুলা জ্বালানোর আগে। দরজা জানালা খুলে নিতে হবে, যাতে কক্ষ থেকে গ্যাস বের হয়ে যেতে পারে।
২০২১ সালের ২৭ জুন রাজধানীর মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ১২ জনের মৃত্যু হয়। ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণে আশপাশের এলাকা কেঁপে উঠেছিল।