আওয়ামী লীগ ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার নীলনকশা নিয়ে আগামী নির্বাচন করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার সকালে নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপি মহাসচিব এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘১৯৭২ সালে যে সংবিধান ছিল তাকে ভেঙেচুরে তারা একদলীয় শাসনব্যবস্থার জন্য দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচন ছিল শফিউল আলম প্রধানের (প্রয়াত) কথায় কুত্তা মার্কা নির্বাচন, একজন লোকও সেখানে ছিল না। ১৫৪টা আসন ডিক্লিয়ার করেছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ২০১৮ সালে আগের রাতে সমস্ত ভোট তুলে নিয়ে চলে গেছে। এখন আবার খায়েশ হয়েছে তারা ৪১ সাল পর্যন্ত থাকতে হবে।’
মির্জা ফখরুল প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এই দেশটা কি তাদের জমিদারি? আমরা সব প্রজা আর সেই প্রজার মতোই আমাদের সঙ্গে ব্যবহার শুরু করেছে। আসলে এই কথায় হবে না, আমাদের কাজে নেমে পড়তে হবে। মানুষকে নামতে হবে আরো বেশি করে। জনগণকে সম্পৃক্ত করতে আরো কাজ করতে হবে। জনগণের উত্তাল তরঙ্গের মতো আন্দোলন সৃষ্টি করে এদের পরাজিত করতে হবে।’
এই সরকার, এই ইসির অধীনে নির্বাচন নয় উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “সরকারের দুই-তিনজন মন্ত্রী আছেন যারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলেন। এখন আবার বলতে শুরু করেছে, ‘বিএনপি ভয় পায়, বিএনপি নির্বাচন করবে।’ আমরা বলে দিতে চাই, বিএনপি এই সরকারের অধীনে, হাসিনা সরকারের অধীনে, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।”
তিনি বলেন, ‘আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। এই আন্দোলনে আমরা ১০ দফা দিয়েছি। সেখানে পরিষ্কার বলেছি, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করার পরে একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের নির্বাচন করতে হবে।’